১২ বছর পর বড়লেখার বর্নি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন কাল

দির্ঘদিন পর মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা র বর্নি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সম্মেলন হচ্ছে আগামী ২৮ অক্টোবর ২০২২ রোজ শুক্রবার বেলা ৩ ঘটিকার সময় বর্নি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে।

সম্মেলন কে ঘিরে এলাকায় নেতা কর্মীদের মাঝে চলছে বিশাল উৎসা উদ্দিপনা ও প্রস্তুতি। দির্ঘদিন যাবত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন না হওয়াতে দলের মধ‍্যে চলছিলো নানান ক্ষোভ, বিদ্বেষ বিরহ আর বিশৃঙ্খলা। নেতৃতহীন হয়ে পড়েছে ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের কর্মীরা। কেহ কারও নেতৃত্বে মানতে না রাজ। সবাই নিজেদের মতো চালাচ্চেন দলীয় কার্যক্রম।

সটিক নেতৃত্বের অভাবে ও ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের অবমুল‍্যায়ন ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের উপর ক্ষুব্দ ইউনিয়নের সর্বস্তরের নেতা কর্মী। বিষয়টি চুড়ান্ত ভাবে দলের জেলা পর্যায়ের নজরে আসে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী জোবায়ের হোসেনের বিশাল ব‍্যাবধানে পরাজয়ের পর। এই পরাজয়টি দলের জন‍্য একটি বিশাল লজ্জাজনক। এমতাবস্থায় ইউনীয়নে সটিক নেতৃত্বের মাধ্যমে দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সম্মেলন অতী জরুরি হয়ে পড়ে।

সম্মেলনে প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ, বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন।

এতে সভাপতিত্ব করবেন : মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বর্নি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।

বিশেষ অথিতি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন : শোয়েব আহমদ – চেয়ারম্যান বড়লেখা উপজেলা ও সাংগঠনিক সম্পাদক বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগ।

বিশেষ অথিতি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ১. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সুন্দর, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগ। ২. মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা. সহ সভাপতি – বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। ৩. একেএম হেলাল উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অধ‍্যক্ষ নারী শিক্ষা একাডেমি বড়লেখা। ৪. বিবেকানন্দ দাস, যুগ্ম সম্পাদক বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগ। ৫. আবুল ইমাম মোহাম্মদ কামরান চৌধুরী – সাংগঠনিক সম্পাদক – বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও মেয়র বড়লেখা পৌরসভা।

ইউক্রেন প্রবাসীদের জন‍্য বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়ারশপ্রেস বিজ্ঞপ্তি

এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্ত প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ছাড়া উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্র বৈধ পাসপোর্টধারীরা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে পাসপোর্ট প্রদর্শন করে পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন।

২) যাদের পাসপোর্ট নেই, তারা ট্রাভেল পাস নিয়ে পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন। প্রত্যেক বাংলাদেশীকে ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি সাথে রাখতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

৩) ওয়ারশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি দল আগামীকাল সকালে পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তের পথে রওনা হবে। ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে ঢুকতে ইচ্ছুক বাংলাদেশীদের তারা সহায়তা প্রদান করবেন।

৪) ইউক্রেনের ভেতরে বিচ্ছিন্ন বোমা বিস্ফোরণ , পেট্রোল অপ্রতুলতা এবং পথিমধ্যে অতিরিক্ত ট্রাফিক জ্যামের কারণে এই মুহুর্তে উক্ত বর্ডার এর দূরবর্তী এলাকায় অবস্হানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সীমান্তের দিকে রওনা হতে হলে পরিস্হিতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে রওনা দিতে অনুরোধ করা যাচ্ছে ।

একটি ইউনিয়ন পরিষদ কি পাচ্ছে আর জনগণকে কি দিচ্ছে ? ভেবেছেন কি কখনো?

বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে সেবা
আমাদের পাওয়ার কথা তা,আমরা কতটুকু পেয়ে যাচ্ছি?

আয়তন লোকসংখ্যা ও লোকেশন বিবেচনায় বিশ্ব ব্যাংকের #এলজিএসপি-৩ এর আওতায় প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ বছরে ২৫ লাখ থেকে ১কোটি টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ পেয়ে থাকে।

এই টাকাগুলো কোন ঝক্কি-ঝামেলা কিংবা উপরি দেয়া ছাড়াই সকল দলের চেয়ারম্যানদের ইউপিগুলোতে চলে আসে।

ইট-ঢালাই, রাস্তা,কালভার্ট,বাচ্চাদের স্কুল ব্যাগ, প্রাচীর, বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য আধুনিক মানের ড্রেসিং/ বাথরুম বানানো /এমন আরও হরেক রকম কাজে ব্যয় করা যায় এই টাকাগুলো।

নরমাল হিসেব করলেও প্রতিজন চেয়ারম্যান শুধু বিশ্ব ব্যাংক থেকে ৫ বছরে পায় দেড় থেকে পাঁচ কোটি টাকা। যে টাকা দিয়ে অনায়াসে একটা ইউনিয়ন সুন্দর ভাবে সাজানো সম্ভব।

তারপর আরও আছে।
যেমনঃ
কর্মসৃজন প্রকল্প থেকে ৩৫-৪০ লাখ টাকা।
এডিবি ১২-১৪ লাখ টাকা।
কাবিটা ১০-১২ লাখ টাকা।
কাবিখা ১০-১২ লাখ টাকা ইত্যাদি।

বন্যার প্রতিরোধ বাঁধ নির্মাণ ও পিআইসি’র টাকা বাদেও আরো অসংখ্য বরাদ্দ আসে ইউনিয়ন পরিষদে। বিভিন্ন দুর্যোগ, মহামারীতে আসে বিশেষ বরাদ্দ নামে তাৎক্ষণিক খরচের টাকা। এটাও প্রকারভেদে আকারে হয় অনেক মোটা এবং তাজা। কিন্তু টাকাগুলো ব্যয় হয় কোথায় ?

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আরেকটি তহবিলে বিশাল অংকের টাকা জমা হয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জমিজমা বেচাকেনার সরকারি ফি হিসেবে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যে টাকা আদায় করা হয় তার দুই শতাংশ হারে টাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিশেষ একাউন্টে জমা হয়।
এই তহবিল চেয়ারম্যান এলাকায় তার পছন্দমতো উন্নয়ন কান্ডে ব্যবহার করে তার হিসাব নিকাশ জমা দেয়ার নিয়ম রয়েছে।

একজন ইউপি চেয়ারম্যানের স্বদিচ্ছা আর মানুষের প্রতি ভালোবাসা, এলাকার প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে তিনি নিজ ইউনিয়নের ভেতর পাড়া-গাঁয়ে প্রায় সকল কাঁচা-কাদা রাস্তা সংস্কার করাসহ জনদুর্ভোগ লাঘবে ছোট ছোট সকল সমস্যার সমাধান সরকারী ফান্ড থেকে করে দিতে পারেন।

অথচ চেয়ারম্যানের কাছে জিজ্ঞাসা করলে বলেন বরাদ্দ নেই।তাহলে সরকার প্রতি বছর ইউনিয়নে যে টাকাগুলো দেয় সেগুলো কোথায় যায়?

কিন্তু বাস্তবতা কি ?

আমরা কি ইউপি থেকে সেই কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছি?
উত্তর আসবেঃ না ।
আমরা সরকারকে দোষারোপ করি। কিন্তু
আসলে সরকার থেকে ইউনিয়ন পরিষদে যে পরিমাণ বরাদ্দ আসে তার খবর কি আমরা নিতে পারছি ?

আমরা কি আমাদের মনের মতো চেয়ারম্যান মানে
জনসেবক বানাতে আদৌ সক্ষম হচ্ছি?

বিষয়টি আমাদের চিন্তার জগতকে
জাগিয়ে তুলবে নিশ্চয়ই।

আমরা আমাদের প্রত্যেকের এলাকায়
ইউনিয়ন পরিষদের আয় ব্যয়ের
খবর নিতে পারি।
উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে চেয়ারম্যান মেম্বারদের সাথে নিজেদের পরিকল্পনা শেয়ার করতে পারি।

বিমানের অস্বাভাবিক ভাড়া কমানোর দাবিতে মানববন্ধন

বর্তমানে জনশক্তি রপ্তানিতে বিদেশগামী কর্মী ও সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো যেসব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে, তারমধ্যে বিমান টিকিটের দুষ্প্রাপ্যতা এবং টিকেটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অন্যতম। তাই অবিলম্বে এয়ার টিকিটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে এনে অসহায় কর্মীদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নির্ধারণ করতে হবে।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঢাকা প্রেসক্লাবের সম্মুখে প্রবাসীদের আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তার এসব কথা বলেন বক্তারা।  

মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশে বিদেশগামী কর্মীদের এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বায়রার সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আগে যে বিমান টিকিটের মূল্য ছিল ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা সেই টিকিট এখন ৭৫-৯০ হাজার টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে না। অতীতেও সুযোগ বুঝে অনেকবার এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয়েছে।বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে তখন থেকেই আমরা নানাভাবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে এলেও, যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টির কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিমান টিকেট নিয়ে বারবার এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে।

বক্তারা আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে বাংলাদেশি শ্রমবাজার বিদ্যমান, কেবলমাত্র সেইসব দেশে যাতায়তের ক্ষেত্রেই বিমান টিকেটের দুষ্প্রাপ্যতা এবং অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে।এয়ারলাইন্সগুলো তাদের ইচ্ছামত অতিরিক্ত ভাড়া প্রবাসগামীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। কোনো সংস্থা তদারকি করছে বলে মনে হচ্ছে না। আমাদের প্রতিবেশি দেশ নেপাল, ভারত, শ্রীলংকার তুলনায় বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিমানের ভাড়া কয়েকগুণ বেশি। ঢাকা থেকে ছয় ঘণ্টার জার্নি রিয়াদে যেতে ভাড়া লাগে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা অথচ ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক ২৩ ঘণ্টার জার্নিতে ভাড়া লাগছে মাত্র ৬৫ হাজার টাকা।

বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ যাত্রী বাংলাদেশ বিমানে যাতায়াত করলেও, অবশিষ্ট প্রায় ৮০ শতাংশ যাত্রী বিদেশি বিমানে যাতায়াত করে থাকে। দেশীয় বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমান নিজেদের লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন সেক্টরে অপ্রয়োজনীয় মূল্য বৃদ্ধি করে। ফলে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বিমানকে অনুসরণ করে পাল্লা দিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করে থাকে। ফলশ্রুতিতে টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সুযোগে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত হাজার হাজার ডলার হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে নিষ্পেষিত হচ্ছে প্রবাসগামী নিরীহ কর্মীরা। একইসঙ্গে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দেশ। এমন অবস্থায় আমাদের স্পষ্ট দাবি, বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে কঠোর নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে অবিলম্বে এয়ার টিকিটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে এনে অসহায় কর্মীদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নির্ধারণ করতে হবে।

এ সময় সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের তদারকি মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুটে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করা, বর্তমানে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার অপেক্ষমান বিদেশগামী যাত্রীদের সংকট সমাধানের জন্য অনতিবিলম্বে স্পেশাল ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা, কোন ট্রাভেল এজেন্সির কাছে কোনো অগ্রিম টিকিট ইস্যু না করে সব এয়ারলাইন্সের অবিকৃত আসন দৃশ্যমান রাখা, বিদেশগামী কর্মীদের জন্য লেবার ফায়ার চালু করা, দেশের বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমানকে ভাড়ার মডেল তৈরি করে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে সেটি অনুসরণের উদ্যোগ নেওয়া, কোন গন্তব্যে হঠাৎ যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সেই রুটে বিমান বাংলাদেশকে যথাশিগগির স্পেশাল ফ্লাইটের ব্যবস্থা নেওয়া এবং সিভিল এভিয়েশনের কার্যকরী ভূমিকার মাধ্যমে বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মাইলস নীতিমালা অনুসরণ করা।

বড়লেখায় ৩ চেয়ারম্যান ও ১০ সদস্য প্রার্থীকে জরিমানা

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ইউপি নির্বাচনের প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৭ জন সদস্যপ্রার্থীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়।

উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ, দক্ষিণ শাহবাজপুর, বড়লেখা সদরসহ কয়েকটি ইউনিয়নে র‌্যাবসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এসিল্যান্ড) মো. তানভীর হোসেন। এসময় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বর্হিভূত পোস্টার ব্যবহার ও প্রচার গাড়িতে অধিক মাইক ব্যবহারের দায়ে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৭ জন সদস্যপ্রার্থীকে ৪৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন জানান, প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালানো নিশ্চিত করতে প্রশাসনের এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

৫ ইউনিয়নের ৪ টিতেই ভরাডুবি : জুড়ীতে আই ওয়াস ই ‘নৌকা’র পরাজয়ের নেপথ্য কারণ

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলাটি ‘নৌকার ঘাঁটি’ হিসেবেই পরিচিত। এটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপির নির্বাচনী এলাকা। সদ্য সমাপ্ত দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখানেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। এতে হতাশ দলের নেতাকর্মীরা।

৫ ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতেই হেরেছেন নৌকার প্রার্থীরা। দু’টিতে ডুবেছে বিদ্রোহের টানাহেঁচড়ায় আর দু’টি হেরেছে বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থীদের কাছে। উপজেলার পশ্চিমজুড়ী, জায়ফরনগর, গোয়ালবাড়ি ও পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীরাই পরাজিত হয়েছেন। শুধুমাত্র সাগরনাল ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ের মুখ দেখেছেন।

‘নৌকার ঘাঁটিতে’ ভরাডুবির কারণ নিয়ে নেতাকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয়দের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আবার আলোচনায় উঠেছে সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী না দেওয়া, বিদ্রোহী দমাতে ব্যর্থতা, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিস্ক্রিয়তা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর (বিদ্রোহী ও বিএনপি) পক্ষে কোনো কোনো নেতার গোপন আঁতাতের বিষয়টিও। এ ছাড়া বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থীদের নৌকা বিরোধী প্রচারণাও ভরাডুবির কারণ হিসেবে দেখছেন দলটির একাধিক নেতা।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আওয়ামী লীগ দলীয় পরাজিত প্রার্থী, স্থানীয় ভোটার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভোটার বলেন, ‘ভাই আমরা সত্য বললেতো সমস্যা। আওয়ামী লীগের নেতাদের মাঝে আগের মতো এখন আর দলীয় আদর্শ আর ঐক্য নেই। আড়ালে আওয়ামী লীগ নেতারা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। আর সামনে পড়লে পক্ষে ছিলেন। এছাড়া অর্থের বিনিময়ে ত্যাগী ও যোগ্যদের প্রার্থী না দিয়ে দুর্বল প্রার্থী দেয়ার জন্যও চার ইউনিয়নে ‘নৌকা’ হেরেছে।

পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের ‘নৌকা’র ভরাডুবি প্রসঙ্গে আওয়ামীলীগ সমর্থক সুজন আহমদ বলেন, ‘নৌকা জিতব কেমনে। যারা নৌকা জিতাইতা তারাই ভিতরে ভিতরে বিদ্রোহী ও বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। দিনে নৌকার পক্ষে ভাষণ দিয়ে রাতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে আঁতাত রেখেছেন।’

সুজন আহমদের মন্তব্যের সত্যতা মিলে জায়ফরনগর ইউনিয়নের এক ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতার কথায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নেতা বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর সাথে দলের বড় বড় নেতাদের ব্যবসা রয়েছে। সঙ্গত কারণে তারা ওই প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন। তারা শুধু মিটিং-মিছিলে পদ বাঁচাতে আইওয়াস করতে উপস্থিত ছিলেন।’

পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন শ্রীকান্ত দাস। তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আনফর আলীর কাছে পরাজিত হন। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো আর আওয়ামী লীগ রইছে না। আমরার মাঝে কিছু মানুষ আমারে অত্যন্ত সুকৌশলে ডুবাইছে।’

পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আব্দুল কাদির। এই ইউনিয়নে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ওবায়দুল ইসলাম রুহেল জয়ী হয়েছেন। দ্বিতীয় হন আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী সালেহ উদ্দিন আহমদ। পরাজয়ের কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কাদির বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভেতরে নৌকা বিরোধী আছে। প্রচুর টাকার ছড়াছড়ি হয়েছে। একেকজন এক কোটি, দুই কোটি টাকা ব্যয় করেছে।’ তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উল্টো সুরে কথা বলেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। তার দাবী ভুল প্রার্থী মনোনয়নের কারণে এ ইউনিয়নে ‘নৌকা’ তিন নম্বর হয়েছে।

গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন শাহাব উদ্দিন লেমন। তিনি স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী আব্দুল কাইয়ুমের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তিনি জানান, জুড়ী আওয়ামী লীগে ‘মোস্তাক’ ঢুকেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ‘মোস্তাক বাহিনী’ মাস্টার প্ল্যান করে ‘নৌকা’ ডুবিয়েছে। নৌকার ভোটব্যাংক কেন্দ্রগুলোতে বিনা কারণে দীর্ঘক্ষণ ভোটবন্ধ রেখে প্রশাসনও এর নগ্ন প্রকাশ ঘটিয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা গত সংসদ নির্বাচনের ধানের শীষ প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে বিজয়ী বিএনপি প্রার্থীকে ফুলের মালা দিয়েছেন। এরাই গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নে ‘নৌকা’ ডুবিয়েছে।

জায়ফরনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন জায়েদ আনোয়ার। তিনি এখানে তৃতীয় হয়েছেন। জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী মাসুম রেজা। দ্বিতীয় হয়েছেন হাবিবুর রহমান। আওয়ামী লীগর প্রার্থী জায়েদ আনোয়ার বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে এখন মুখ খুলতে চাচ্ছি না। মন্ত্রীর কাছে বিচার দিয়ে বিচারের অপেক্ষা করব। প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় নেতাদের ভুমিকার বিস্তারিত জানাব।’

জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ জানান, আমাদের প্রার্থী বাছাইয়ে ঘাটতি ছিল। ভালো প্রার্থী পাওয়া যায়নি। আর যারা নৌকার টিকেট পেয়েছিলেন তারা ভালোভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারেননি। নেতাকর্মীদের সাথেও সমন্বয় করতে পারেননি। ভালো প্রার্থীরাই বিদ্রোহী হয়ে বিজয়ী হন।

বড়লেখার বর্নি ১ নং পাকশাইল ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের নির্বাচনী জনসভা (ভিডিও )

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ১ নং বর্নি ইউনিয়নের ১ নং পাকশাইল ওয়ার্ডের মেম্বার পদ প্রার্থী ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের নির্বাচনি জনসভা।

৩১.১০.২০২১ ইং রোজ রবিবার দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্টিত।

বড়লেখার সাবেক চেয়ারম্যান আসাদ উদ্দিন বটলের দাফন সম্পন্ন

বড়লেখা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন বটল (৭৮) গত ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। ৩০ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি আফতাব উদ্দিন-আমিনা খাতুন কলেজ মাঠে মরহুমের তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে বড়লেখা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রবীণ রাজনীতিবিদ আসাদ উদ্দিন বটলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এম. নাসের রহমান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজ, বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম সুন্দর, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজু, জুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান আইনুল হক প্রমুখ।

বড়লেখায় বর্তমান ৩ চেয়ারম্যানসহ আ’লীগের ৯ নেতার বিদ্রোহী প্রার্থীতা ঘোষণা

বড়লেখায় দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত ৩ বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ৯ আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়েছেন। এদের অনেকেই আগামী ২ নভেম্বর জমা দেওয়ার লক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

কালো টাকার বিনিময়ে তাদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি এমন অ’ভিযোগ তুলে চালিয়ে যাচ্ছেন উঠোন বৈঠক, মতবিনিময় ও গণসংযোগ। মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের অনুসারীরা নৌকার প্রার্থী পরিবর্তনের দাবীতে বিভিন্ন ইউনিয়নে সড়ক অবরোধ, বি’ক্ষোভ মিছিল ও রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

তৃতীয় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর উপজে’লার ১০ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৭ অক্টোবর দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে উপজে’লা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা’র আয়োজন করে। এতে নৌকার কা’ন্ডারী হতে ৫৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন। এদের মধ্যে ৩৮ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠায় জে’লা আওয়ামী লীগ।

জানা গেছে, উপজে’লার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, বড়লেখা সদর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, বর্নি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মোহিত, দাসেরবাজার ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন মাতাই, তালিমপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান সুনাম উদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইস’লাম ও উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা পুত্র মমিনুল হক টনি।

বড়লেখা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজ উদ্দিন জানান, কেন্দ্রে পাঠানো প্রার্থী তালিকার এক নম্বরে তিনি ছিলেন। অথচ তাকে বঞ্চিত করে অন্য একজনের হাতে নৌকা তুলে দেওয়ায় তার কর্মী-সম’র্থকরা চরম ক্ষুব্ধ। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারের মতামতে তিনি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বড়লেখার ১০ ইউপিতে আ:লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে বর্ধিত সভা।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ১০ ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে বড়লেখা উপজেলার আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্টিত হয়।

মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়ন বোর্ড যাচাই-বাছাই করে নৌকার প্রার্থী দিয়েছেন। আমরা যেহেতু দল করি; দলের সিদ্ধান্ত আমাদেরকে মানতেই হবে। এখানে অন্য কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই। গতবারের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকেই এবার দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ভুলক্রমে কোথাও দুই-একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে তা পরিবর্তন করা হয়েছে।’
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৮টায় মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগ এ বর্ধিত সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘দলের কোনো কমিটিতে বিদ্রোহীদের আর স্থান না দিতে আমাদের কাছে নির্দেশনা এসেছে। যারা নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হবেন; তারা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে কোনো পদে আসাতো দূরের কথা সদস্য পদ পর্যন্তও পাবেন না।’
জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মিছবাহুর রহমান আরও বলেন, ‘রাজনীতি একদিনের নয়। এটা দীর্ঘমেয়াদী একটা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই রাজনীতি করে যেতে হয়। তাই বিদ্রোহী হয়ে নিজেদের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনকে ধ্বংস করবেন না। সকলের কাছে অনুরোধ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করুন।’
বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মাদ সিরাজ উদ্দিন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি ডা. প্রণয় কুমার দে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নিয়াজ উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আহাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আব্দুল লতিফ, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি তাজ উদ্দিন, সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমদ, বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ, সুজানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমরুল ইসলাম লাল, দক্ষিণভাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুভ্রত দাস শিমুল, বর্ণি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিজাম উদ্দিন, নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খয়রুল আলম নুনু, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালিক, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি হাজী বাবুল, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ।

Design a site like this with WordPress.com
Get started